ট্রানজিস্টর কীভাবে কাজ করে? সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা

ট্রানজিস্টর হলো আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি রেডিও, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ট্রানজিস্টর কীভাবে কাজ করে? চলুন সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করি।

ট্রানজিস্টর কীভাবে কাজ করে


ট্রানজিস্টর কী?

ট্রানজিস্টর হলো এক ধরনের সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা ইলেকট্রনিক সংকেত নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি মূলত একটি সুইচ বা পরিবর্ধক (amplifier) হিসেবে কাজ করে।


ট্রানজিস্টরের প্রকারভেদ

প্রধানত দুই ধরনের ট্রানজিস্টর আছে:

১. বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টর (BJT)

২. ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর (FET)


১. বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টর (BJT)

BJT তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত:

  • বেজ (Base) – সংকেত প্রবেশের জন্য।
  • এমিটার (Emitter) – ইলেকট্রন প্রবাহিত করার জন্য।
  • কলেক্টর (Collector) – ইলেকট্রন সংগ্রহের জন্য।

যখন বেজে ছোট পরিমাণ কারেন্ট দেওয়া হয়, তখন এমিটার থেকে কলেক্টরে বড় পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হয়। এটি সংকেতকে পরিবর্ধন করতে সাহায্য করে।


২. ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর (FET)

FET-ও তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত:

  • গেইট (Gate) – সংকেত নিয়ন্ত্রণের জন্য।
  • ড্রেন (Drain) – কারেন্ট সংগ্রহের জন্য।
  • সোর্স (Source) – কারেন্ট প্রবাহিত করার জন্য।

গেইটে সংকেত দিলে ড্রেন ও সোর্সের মধ্যে কারেন্ট প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ হয়। এটি ডিজিটাল সার্কিটে বেশি ব্যবহৃত হয়।

ট্রানজিস্টরের কাজের মূলনীতি


ট্রানজিস্টর প্রধানত দুটি উপায়ে কাজ করে:

১. পরিবর্ধক (Amplifier) হিসেবে: ছোট ইনপুট সংকেতকে বড় আউটপুট সংকেতে রূপান্তর করে।

২. সুইচ হিসেবে: অন বা অফ অবস্থায় পরিবর্তন করে, যা ডিজিটাল সার্কিটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রানজিস্টরের ব্যবহার

  • রেডিও ও টেলিভিশন
  • কম্পিউটার প্রসেসর
  • মোবাইল ফোন
  • সেন্সর ও অটোমেশন

ট্রানজিস্টর আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের ভিত্তি। এটি সংকেত পরিবর্ধন ও সুইচিং কাজে ব্যবহৃত হয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ট্রানজিস্টর ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি কল্পনাই করা যায় না। আপনার যদি ট্রানজিস্টর নিয়ে আরও জানতে ইচ্ছা করে, তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন!

আরও পড়ুনঃ 




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url