বাংলাদেশে আর ইন্টারনেট বন্ধ হবে না, স্টার লিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালু হচ্ছে বাংলাদেশে।
ইলন মাস্কের স্টারলিংককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো এবং তা খুব তারা তারি বাংলাদেশে চালু হবে। স্টার লিংক ইন্টারনেট বাংলাদেশে চালু হলে সরকার চাইলেই তা আর বন্ধ করতে পারবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও স্পেসএক্সের
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও দেশে ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে স্টারলিংক
স্যাটেলাইট সার্ভিস চালু করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
স্টারলিংক ইন্টারনেটের
সুবিধাসমূহ:
দ্রুত
গতি ও কম ল্যাটেন্সি:
স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট হওয়া সত্ত্বেও প্রচলিত ব্রডব্যান্ডের কাছাকাছি গতি সরবরাহ করে (প্রায় ৫০-২৫০ Mbps) এবং
ল্যাটেন্সি কম (২০-৪০ ms), যা
গেমিং ও ভিডিও কলের
জন্য উপযোগী।
দুর্গম
এলাকায় সংযোগ: যেখানে ফাইবার বা মোবাইল নেটওয়ার্ক
পৌঁছায় না, যেমন গ্রামাঞ্চল, সমুদ্র বা পাহাড়ি এলাকা,
সেখানে স্টারলিংক ইন্টারনেট সহজেই ব্যবহার করা যায়।
সহজ
সেটআপ: স্টারলিংকের ডিশ এবং রাউটার সংযোগ করলেই ইন্টারনেট চালু করা যায়, যা প্রচলিত ব্রডব্যান্ড
সংযোগের চেয়ে সহজ।
মোবাইল
ব্যবহারযোগ্যতা: স্টারলিংক এখন কিছু পোর্টেবল এবং মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য পরিষেবা দিচ্ছে, যা ট্রাক, জাহাজ,
বা ক্যাম্পিংয়ের জন্য সুবিধাজনক।
ব্যবসা
ও সামরিক ক্ষেত্রে কার্যকর: ব্যবসায়িক এবং সামরিক কার্যক্রমে নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে, যা বিশ্বব্যাপী সংযোগ
স্থাপনের জন্য উপযোগী।
বাংলাদেশে স্টার লিংক ইন্টারনেট ব্যাবহারের খরচ
আবাসিক
গ্রাহকদের জন্য স্টারলিংক কিটের মূল্য ৩৪৯ থেকে ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত হতে পারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায়
প্রায় ৪৩,০০০ থেকে
৭৪,০০০ টাকার সমান। মাসিক ফি প্রায় ১২০
ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১৫,০০০ টাকা।
করপোরেট গ্রাহকদের জন্য এই খরচ আরও
বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন ঃ
* ইলন মাস্কের স্টারলিংক এবার মোবাইলেও – কী বদলাবে ইন্টারনেট বিশ্ব?