মানসিক চিন্তা দূর করার উপায়
মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার উপায়
মানসিক দুশ্চিন্তা বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ মানুষেরই একটি কমন সমস্যা। কিছু সংখ্যক লোক আছে যারা মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
অ্যামেরিকার মতন উন্নত দেশের ৮০% মানুষেই মাসে একবার মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরানাপণ্য হয়। মানসিক সমস্যায় অনেক দিন কেউ ভুগলে তা হৃদরোগের কারণ হয়।
মানুষের মন ভাল থাকার সাথে সারিরিক সুস্থতা নির্ভর করে। মানসিক চাপ থেকে সারিরিক সমস্যা সৃষ্টি হয় অনেকেই আবার মানসিক চাপ দুর করার জন্য নানা রকম নেশা দ্রব্য গ্রহণ করে কিন্তু এর ফলে সাময়িক ভাবে টেনশন মুক্ত হলেও তা আরও নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করে।
আজকে আমি মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় সমূহ নিয়ে আলোচনা করব। এই নিয়ম গুলি কেউ মেনে চললে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।
মেডিটেশন বা ধ্যান
মানসিক চিন্তা দূর করার জন্য মেডিটেশন অতন্ত কার্যকরী একটি উপায়। প্রতিদিন ১০ মিনিট করে যদি কেউ মেডিটেশন করতে পারে তাহলে সে মানসিকভাবে অতন্ত্য শক্তিশালী থাকবে।
ধ্যান করার ফলে আমাদের মন শান্ত হয় এবং সকল প্রকার মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে। যারা নিয়মিত ধ্যান করে তারা যেকোন কাজে খুব সহজে মননিবেশ করতে পারে।
WHO এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত মিডিটেশন করেন তারা কম শারিরিক সমস্যায় ভোগেন।
সবসময় কোন কাজে ব্যস্ত
থাকা
অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা। গবেষণায় দেখা গেছে কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলে নানা রকম দুশ্চিন্তা আমাদের মনে আসে না।
কিন্তু কোন কাজ না করে শুধু শুধু বসে থাকলে তখন নানা রকম দুশ্চিন্তা ও হতাশা আমাদের মনে আক্রমন করে। তাই টেনশন থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে সমসয় কোন না কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে।
বর্তমান
নিয়ে চিন্তা
করা
আমরা অনেকেই অতীত ও ভবিষৎ নিয়ে চিন্তা করে বর্তমান সময়কেই বিষিয়ে তুলি, যার ফলে আমাদের বর্তমান ও ভবিষৎ দুইটি নষ্ট হয়।
তাই বর্তমান সময়কে কিভাবে সুন্দর করা যায় এবং বর্তমানে কোন কাজটি ভালভাবে করা যায় তা চেষ্টা করতে হবে।
এটি করলে আমাদের বর্তমানও ভাল হবে এবং ভবিষৎও সুন্দর হবে। ভবিষৎতে কি হবে এই এই সমস্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা যায় বর্তমানকে সুন্দর করার মাধ্যমে।
ক্রোধ কমিয়ে ফেলুন
ক্রোধ প্রত্যেক মানুষেরই আছে, কেউ অল্পতে বেশি রাগান্বিত হয়ে যায় আবার কেউ ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু ক্রোধ বা রাগ একটি খারপ জিনিস, রাগের মাথায় মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
ক্রোধান্বিত হয়ে কাউকে কোন কথা বললে বা কোন কাজ করলে তার জন্য পরবর্তিতে দুশ্চিন্তা করতে হয় এবং পস্তাতেও হয়।
অতিরিক্ত রাগান্বিত হলে হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। তাই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে।
নেশা পরিত্যাগ করুন
অনেকেউ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করার জন্য নানা রকম নেশা দ্রব্য গ্রহণ করে, কিন্তু এটা একদমেই ভুল সিদ্ধান্ত।
নেশা আমাদের সাময়কি সময়ের জন্য একটা কাল্পনিক জগতে রাখে কিন্তু নেশা কেটে গেলে এই নেশার জন্যই আরও নানা রকম সমস্যা ও দুশ্চিন্তা ভোগ করতে হয়।
নেশা এমন একটি খারাপ জিনিশ যেটা ধিরে ধিরে আমাদের মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে এবং সঠিক সময়ে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
নেশা অনেক প্রকার রয়েছে, শুধু এলকোহোলেই নেশা নয় চা, কফিও নেশা দ্রব্য এর মধ্যে পরে। চা ও কফিতে প্রচুর পরিমানে ক্যাপেন থাকে।
ক্যাপেন এমন একটি পদার্ত যা নিয়মিত গ্রহণ করলে এটা অভ্যাসে পরিণত হয়, এবং পরবর্তিতে ক্যাপেন চারা মস্তিস্ক কোন কাজ করতে পারে না।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
ঘুম মানুষের অতি প্রয়োজনীও একটি জিনিস। সারাদিনের ক্লান্তি ঘুমের মাধ্যমে দুর হয় এবং পরবর্তী দিনের জন্য নতুন করে শক্তি নিয়ে জেগে উঠতে সাহায্য করে।
অনেকেই রাত্রে অনেক সয়ম পর্যন্ত সজাগ থাকে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না। পরবর্তীদিন কাজে ক্লান্তি অনুভব হয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মস্তিস্কের চিন্তা শক্তি লোভ পায় এবং সঠিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
ঘুমেরও অনেক প্রকার ভেদ রয়েছে, ঘুমের জন্য ভাল নিরিবিলি জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কোলাহল পূর্ন্য স্থানে ভাল ঘুম হয় না।
ফলে পরবর্তি দিন শরির মেচ মেচ করে এবং মেজাজ কিট কিটে হয়ে যায়। ভাল ঘুম হলে আমাদের হার্ট সুস্থ থাকে।
আরও পড়ুন