গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়
গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যার জন্য গ্যাসের ঔষধ খায়নি এমন মানুষ বর্তমানে সময়ে খোঁজে পাওয়া কঠিন। বাজারে ঔষধের দোকানে সবচেয়ে বেশি গ্যাসের ঔষধ বিক্রি হয়। কত নামের যে গ্যাস্ট্রিক এর ঔষধ রয়েছে তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা।
গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী, আমাদের অনিয়মিত খাদ্যবাসের কারনেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। আমরা যদি আমাদের খাওয়ার অভ্যাস কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারি।
ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চললেই গ্যাসের সমস্যার জন্য আর গ্যাসের ঔষধ খেতে হবে না। নিম্নে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত পানি পান করা
আমরা সকলেই পানি পান করি, কারণ পানি কে জীবন বলা হয়। কিন্তু কিভাবে কখন পানি পান করতে হয় তা অনেকেই জানি না। গ্যাসের সমস্যা দুর করার জন্য খাওয়ার ১ ঘন্টা পূর্বে ও খাওয়ার ১ ঘন্টা পরে পানি পান করতে হয়।
আমরা যদি ভাত খাওয়ার সাথে সাথেই পেট ভরে পানি পান করি তাহলে তা এ্যাসিডে পরিণত হয়। এবং আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাসের সমস্যা দুর করার জন্য আরেকটি ভাল উপায় হচ্ছে সকলে খালি পেটে কুসুম ঘরম পানি পান করা।
সকালে খালি পেটে কুসুম ঘরম পানি পান করলে আমাদের পেটের নারিভুড়ি পরিষ্কার হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ লিটার পানি পান করতে হবে।
গ্যাসের সমস্যা দুর করার জন্য মধু
মধুর অনেক উপকার রয়েছে কেউ যদি নিয়মিত খাটি মধু পান করতে পারে তাহলে সে অনেক রোগ- বালাই থেকে মুক্ত থাকবে। গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য মধু অনেক উপকারী।
প্রদিতিন খাওয়ার পড়ে ১ চামচ করে মধু পান করতে পারলে তা হজমের কাজে সহায়তা করে এবং আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে। তাই শুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত খাটি মধু পান করুন।
পরিমিত ঘুম
ঘুম আমাদের দেও ও মন সুস্থ থাকার জন্য খুবেই প্রয়োজনীয়। খারও যদি ঘুম ঠিকমত না হয় তাহলে তার নানা রকম সারিরিক সমস্যা দেখা দিবে।
ঘুমের সময় আমাদের দেহের ভিতরে নানা রকম জটিল কার্যকলাপ চলে, আমাদের দেহে নিজে থেকেই ঘুমের সময় তার নানা রকম সমস্যা সারিয়ে তুলে।
কারও যদি ঠিক মত ঘুম না হয় তাহলে তার হজমের সমস্যা দেখা দিবে এবং হজমের সমস্যা থেকে খুদা মন্দা গ্যাসের সমস্যা আরও নানা রকম সমস্যার দেখা দিবে। তাই গ্যাসের সমস্যা থাকলে নিয়মিত পরিমাণ মত ঘুমাতে হবে।
একজ সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত, তবে কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুমাতেই হবে এর থেকে কম ঘুমালে দেহের নানা রকম সমস্যা দেখা দিবে।
পেপে
পেপে আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারি, পেপে কাচা অথবা পাকা যেভাবেই খাওয়া হক তা আমাদের অনেক উপকার করে। পেপেতে রয়েছে পাপায়া নামের এনজাই যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত পেপে খেলে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কলা ও কমলা
কলাতে রয়েছে প্রছুর পরিমাণে ভিটামিন ও ফাইবার যা আমদের দেহের ভিটামিনের চাহিদার পাশা পাশি খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুইটি করে কলা খেলে কোষ্ঠ্যকাটিন্য দুর হয় এবং গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আদা
গ্যাসের সমস্যা দুর করার জন্য আদা অনেক উপকারি। আদাতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নামের উপাদান রয়েছে যা আমাদের এ্যাসিডিটি দুর করে পাশা পাশি গ্যাসের সমস্যা দুর করে। প্রতিদিনি আদা কুচি লবনের সাথে খেলে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ ছাড়াই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তৈলাক্ত খাবার ও জাঙ্ক ফুট খাওয়ার পরিমাণ কমানো
যে সমস্ত খাবারে অতিরিক্ত তেল থাকে তা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর, অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার খেলে তা হজম করার জন্য অনেক শক্তির প্রয়োজন হয় এবং হজম না হলে পাকস্তলিতে এ্যাসিডিটি তৈরি হয়।
তাই সুস্থ থাকার জন্য ভাজি পোড়া ও জাঙ্ক ফুট খাবার এরিয়ে চলতে হবে। উপরের এই সমস্ত নিয়ম মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে আমরা মুক্ত থাক এবং গ্যাসের ঔষধের কোন প্রয়োজনেই পড়বে না।
আরও পড়ুন