ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(DBMS) কি


ডাটাবেজ-ম্যানেজমেন্ট-সিস্টেম-কি

ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য এবং সে তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের সমষ্টি।

সাধারণত ডাটাবেকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিবিএমএস ব্যবহৃত হয়। ডেটাবেজকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিবিএমএস ব্যবহৃত হয়।

ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে বিভ্নি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম থাকে। ফলে একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত ডিবিএসএস ডেটাবেজ তৈরি, এক্সেস করা এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।

বর্তমানে ব্যবহৃত কয়েকটি ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রোগ্রাম হলো- ডিবেস, ফক্সপ্রো, এক্সেস, ওরাকল ইত্যাদি।

ডাটাবেজ এর কাজ কি

ডেটা শব্দের অর্থ হচ্ছে উপাত্ত এবং বেজ শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘাঁটি বা সমাবেশ। অর্থাৎ ডেটাবেজ হচ্ছে একধরনের তথ্যভান্ডার যেখানে অসংখ্য উপাত্তের একটি সুসজ্জিত তালিকা থাকে।

একটি ডেটাবেজ মূলত কলাম এবং সারির সমন্বয়ে গঠিত। প্রত্যেকটি কলামের একটি করে হেডিং বা শিরোনাম থাকে।

এই হেডিং বা শিরোনাম থেকেই বোঝা যায় সেই কলামে কী ধরনের ডেটা বা তথ্য আছে। হেডিং বা শিরোনাম ফিল্ড নামে পরিচিত।

আর পাশাপাশি কয়েকটি কলামের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি সারি। প্রতিটি সারিকে বলা হয় রেকর্ড। আবার, এক বা একাধিক রেকর্ড মিলে টেবিল আকারে ডেটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।

বর্তমানে ডেটাবেজের আওতায় এক বা একাধিক ডেটা টেবিল, কুয়েরি, ফর্ম, রিপোর্ট, ম্যাক্সো ইত্যাদি ফাইল থাকতে পারে।

ডেটাবেজ প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য

  • ডেটাবেজে বিভিন্ন ধরনের টেবিল তৈরি করে তাতে অজস্র ডেটাকে সুসংগঠিত করে রাখা যায় এবং পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়।
  • শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য ও প্রদেয় হিসাব, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, বার্ষিক রিপোর্ট, উৎপাদন ও বিক্রয় ইত্যাদি যাবতীয় কাজের প্রয়োজনীয় তথ্য সহজে সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • ডেটাবেজে সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ তথ্য থেকে কাঙ্ক্ষিত যেকোনো তথ্যকে দ্রুত খুঁজে বের করা যায়।
  • বৃহৎ ডেটাবেজের অসংখ্য রেকর্ড থেকে শুধু প্রয়োজনীয় রেকর্ডসমূহ নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে প্রিন্ট করা যায়।
  • বৃহৎ ডেটাবেজ হতে তৈরিকৃত রিপোর্টে পছন্দমত গ্রাফ, চার্ট এবং ছবি সংযোজন করা যায়।
  • ডেটাবেজের অসংখ্য রেকর্ড থেকে শুধু প্রয়োজনীয় রেকর্ডসমূহ নিয়ে মেইলিং লেবেল তৈরি করা যায়।
  • ডেটাবেজে ব্যবহৃত কোয়েরিতে বিভিন্ন শর্তারোপ করে ডেটাবেজ থেকে রেকর্ডসমূহকে আলাদা করে ডেটা টেবিল তৈরি করা যায়।
  • ডেটাবেজের একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডের উপর ভিত্তি করে দুই বা ততোধিক টেবিলের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য রিলেশন তৈরি করা যায়।
  • ডেটাবেজের অভ্যন্তরীণ ফাইলসমূহের মধ্যে লিংক তৈরি করা যায়।
  • প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ডেটাবেজে উপাত্তগুলোর রেকর্ড স্ট্রাকচার পরিবর্তন করা যায়।

ডেটাবেজে ব্যবহৃত ইন্ডেক্স সম্পর্কে বর্ণনা

কোনো ডেটাবেজে ইনডেক্স করার অর্থ হচ্ছে সূচি প্রণয়ন করা কোন ফাইলের ডেটা ইন্ডেক্স করার অর্থ হচ্ছে সেই ফাইলের ডেটাকে আরোহী বা অবরোহী অনুসারে সাজানো।

ডেটাবেজের কোন ফিল্ডের উপর ভিত্তি করে রেকর্ডগুলো ইন্ডেক্স করা হয়। ডেটাবেজ থেকে সহজে তথ্য খোঁজ করার জন্য ইন্ডেক্স ব্যবহার করা হয়।

ডেটাবেজের এক বা একাধিক ফিল্ডের উপর ইন্ডেক্স করে Alphabetically বা Numerically সাজানো যায়।

ইন্ডেক্স ফাইল মূল ডেটাবেজ ফাইলের কোন রূপ পরিবর্তন না করে রেকর্ডসমূহ বিভিন্নভাবে সাজাতে পারে।

ইন্ডেক্স ব্যবহার করে কোন বই থেকে যেমন কোন বিষয় সহজে খুঁজে বের করা যায় তেমনই কোন বিষয় সহজে খুঁজে বের করা যায় তেমনই কোন ডেটাবেজ টেবিল ইন্ডেক্স করা থাকলে তা থেকে সহজেই কোন রেকর্ড খুঁজে বের করা যায়।

কোনো ডেটাবেজ টেবিলের ইন্ডেক্স ফাইলে কোনো তথ্য থাকে না । এটি কেবল তথ্যাবলির রেফারেন্স ধারণ করে।

এছাড়া ডেটাবেজে অবস্থিত কোনা টেবিলে ইন্ডেক্স সংযোজন করা হলে টেবিলের রেকর্ডসমূহ ইন্ডেক্স অর্ডার অনুসারে প্রদর্শিত হয়।

মাইক্রোসফট এক্সেস প্রোগ্রামে ডেটাবেজ তৈরি করার কৌশল

মাইক্রোসফট এক্সেস প্রোগ্রামে ডেটাবেজ তৈরি করার জন্য এক্সেস প্রোগ্রামটি চালু করার পর নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে-

  • মাইক্রোসফট এক্সেস প্রোগ্রামের উইন্ডোর উপরে বাম দিকে অবস্থিত Blank Database আইকন ক্লিক করার পর ব্লাংক ডেটাবেজের নাম দেওয়ার জন্য ডায়লগ বক্সের File Name ঘরে Practice-1 বিদ্যমান থাকবে। এ নামের ফাইলটি কোনো ফোল্ডারে সংরক্ষণ করতে হলে ফোল্ডারটি তৈরি করে নিতে হবে।
  • ডায়লগ বক্সের Ok বোতামে ক্লিক করলে আগের ডায়ালগ বক্সটি ফিরে আসবে।
  • ডায়লগ বক্সের Creat বোতামে ক্লিক করলে টেবিল তৈরি করার আগের অবস্থায় একটি শূন্য ডেটাবেজ উইন্ডো আসবে। এ উইন্ডোর টাইটেল বার-এ লেখা থাকবে ‘Practice-1Database…

ডাটাবেজে বন্ধ করে রাখা ফাইল খোলার পদ্ধতি

একটি ডেটাবেজ ফাইল তথ্য সন্নিবেশিত করা, ভুল সংশোধন করা এবং অন্যান্য সম্পাদনার কাজ একবারে করা সম্ভব হয় না।

কাজেই যতটুকু কাজ করা যায় ঠিক ততটুকু কাজ করে ফাইলটি সেভ করে বন্ধ করে রাখতে হবে। পরে আবার সেই বন্ধ করা ফাইলটি পুনরায় খুলতে হবে। এই বন্ধ করে রাখা ফাইল খোলার পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো-

  • বন্ধ করে রাখা ফাইলটি যে ফোল্ডারে আছে সেই ফোল্ডারে যেতে হবে।
  • ফাইলের উপর ক্লিক করে সিলেক্ট করতে হবে।
  • উপরের মেনু বা-এ Open বোতামে ক্লিক করতে হবে। ফলে ডেটাবেজ ফাইলটি খুলে যাবে।
  • বাম দিকে Table লেখার উপর ডবল ক্লিক করলে ডেটাবেজ হিসেবে তৈরি করা Table খুলে যাবে।
  • এই অবস্থান থেকে পরবর্তী পর্যায়ের কাজ শুরু করতে হবে।

আরও পড়ুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url