মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া সহজ উপায়

মুখের-ব্রন-ও-কালো-দাগ-দূর-করার-উপায়

মানুষের সৌন্দর্য্য প্রকাশের প্রধান অংশ হচ্ছে মুখ, আর এই মুখে যদি ব্রণ বা কালো দাগ থাকে তাহলে সারা শরীর সুন্দর থাকলেও থাকে অসুন্দরেই দেখা যাবে। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব মুখের ব্রন ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া সহজ উপায় সমূহ নিয়ে। বর্তমানে মানুষের সৌন্দর্য্য প্রকাশিত হয় তার মুখমন্ডল দিয়ে, কিন্তু আমাদের কিছু ভুলে কারণে মুখমন্ডলের ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যায়।

কারণ আধুনিক যুগে বাজারের নানা রকম ক্যমিকেল যুক্ত কসমেটিক ব্যবহার করে আমাদের এই রকম সমস্যার সমুখিন হই। যারা বহুদিন ধরে মুখে ব্রণ ও কালো দাগের সমস্যায় ভুগছেন তাদের এই সমস্যা সমাধানের ঘরোয়া উপায় সমূহ নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

ব্রণ ও কালো দাগ দুর করার ঘরোয়া ও সহজ উপায় সমূহ

=> আামাদের শরীরের 75 ভাগ হচ্ছে পানি তাই শরীরের ত্বককে সতেজ রাখতে প্রছুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় পানি কম পান করলে কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়, যাদের নিয়মিত পায়খানা ক্লিয়ার না হয় তাদেরও মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে 6-7 লিটার পানি পান করতে হবে।

=> বাজারের ক্যমিক্যাল যুক্ত কসমেটিক ব্যবহার না করে ঘরোয়াভাবে প্রাকৃতক উপাদান যেমন নিমপাতা ব্যবহার করুন। কতগুলো কাচা নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নি তারপর মুখে ভালভাবে প্রলেব দিন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এক সাপ্তাহ ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

=> মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দুর করার জন্য চন্দন কাঠ অনেক উপকারী। চন্দন কাঠ ভালো করে পিষে এর সাথে ২-৩ ফোটা লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

=> কাঁচা হলুদ মুখের ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর। কাঁচা হলুদ মুখে ব্যবহার করলে শুধু ব্রণের দাগ দুর করে না সাথে মুখের উজ্জলতাও বৃদ্ধি করে । কাঁচা হলুদের সাথে চন্দন কাঠের গুড়ো মিশ্রিত করে দিলে আরও ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

=> মুখের কালো দাগ দুর করার জন্য তুলসি পাতা অনেক উপকারি। তুলসি পাতা অনেকেই চিনেন বিশেষ করে হিন্দু বাড়িতে পাওয়া যায়। তুলসি পাতার রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী ব্রণ আক্রান্ত স্থানে তুলসি পাতার রস লাগিয়ে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন।

=> অপরিস্কার ত্বক থাকার কারণেও ব্রণ হয়। তাই নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। মুখ পরিষ্কার করার জন্য পাকা পেপে ও চালের গুড়ো মিশিয়ে ম্যাসাজ করে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন এটি বাজারের ফেইসওয়াসের মত কাজ করে।

=> মুখে তৈলাক্ত ভাব থাকার কারণেও ব্রণ হয়। তাই শশার রস তৈলাক্তভাব দুর করতে খুবই কার্যকর। শশার রসের সাথে চালের গুড়ো ও মধু মিশিয়ে মুখে ম্যসাজ করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে মুখে যদি ব্রণ বেশি থাকে তবে এটি ব্যবহার করা যাবে না।

=> সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে নখ দিয়ে ব্রণ না খোচানো। আমাদের বেশিরভাগ মানুষের এই বাজে স্বাভাব আছে। বুঝতে হবে নখ দিয়ে ব্রন খোচানো কোনো সমাদান না, এভাবে করলে ব্রণের আরও বিষক্রিয়া হয় ব্রণ লাল হয়ে যায়। এবং কালো কালো দাগের সৃষ্টি হয়।

=> ব্রণের জন্য আরেকটি উপাদান হল মুলতানি মাটি, মুলতানি মাটি মুখের তেলতেলে ভাব দুর করে ও নিঃসরন বন্ধ করে দেয়। তাই মুলতানি মাটির প্রলেপ লাগালে ব্রণের জন্য খুবেই উপকার পাওয়া যায়।

=> আপেল আমাদের অতি পরিচিত ফল। আপেল এর মাধ্যমে ব্রন দুর করার ঘরোয়া পদ্ধতি আছে। প্রথমে আপেল থেকে রস বের করে নিয়ে হবে এবং এর সাথে ৪-৫ ফোটা মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এটি কয়েকদিন মুখে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

=> অনেকের ব্রনের সাথে চুলকানি ও ব্যাথা হয়। এই চুলকানি ও ব্যথা দুর করার জন্য গোলাপ জলের সাথে দারচিনি গুড়া মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

এই সমস্ত ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করার পরও যদি ব্রনের সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরনাপণ্য হন।

আরও পড়ুন

* পেটের অতিরিক্ত মেদ ও ভুড়ি কমানোর উপায় সমূহ

* চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url