অনলাইন বা ইন্টারনেট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার পদ্ধতি

Dollar

প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন একটি মাধ্যম যে আপনি নির্দিষ্ট কিছুদিন কাজ করবেন এবং পড়ে কাজ না করেও আয় করতে থাকবেন। আমাদের আয় বা ইনকাম দুই রকম ভাবে হয়ে থাকে একটি হলো একটিভ ইনকাম আর অন্যটি হলো প্যাসিভ ইনকাম।

বেশিরভাগ মানুষ এই এক্টিভ ইনকামেই করে থাকে। এক্টিভ ইনকাম হলো আপনি যতক্ষন কাজ করবেন শুধু ততক্ষণ সময়েই আপনার আয় হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় একজন রিক্সা চালকের কথা, একজন রিক্সা চালক যতক্ষণ রিক্সা চালাবে শুধু ততক্ষনেই তার ইনকাম হবে।

আর প্যাসিভ ইনকাম হলো আপনি যদি ঘুমিয়েও থাকেন তাহলেও আপনার ইনকাম হতেই থাকবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় একজন বাড়ীওয়া সে প্রথমে কষ্ট করে একটি বাড়ী নির্মাণ করলো পড়ে ঐ বাড়ী বাড়া দিয়ে সে যদি ঘুমিয়েও থাকে তাহলেও তার মাসে মাসে ইনকাম হতেই থাকবে।

আমি এখানে শুধু একটি বাড়ীর উদারণ দিয়েছি এছাড়াও আরও অনেক মাধ্যম রয়েছে প্যাসিভ ইনকাম করার। আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব অনলাইন বা ইন্টারনেট থেকে কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।

ইন্টারনেট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার মাধ্যম

ইন্টারনেট বা অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার অনেক মাধ্যম রয়েছে, যেমন, ব্লগিং, ইউটিউবিং, মোবাইল অ্যাপস, টি-শার্ট ডিজাইন, ই-বুক রাটিং ইত্যাদির মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। নিম্নে প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যম গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম: অনলাইনে আয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্লগিং হচ্ছে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগিং হচ্ছে এমন একটি পেশা যার মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। অনলাইনে অয়েব সাইটের মাধ্যমে লিখা-লিখি করাকে ব্লগিং বলে। ব্লগিং করার জন্য একটি অয়েব সাইটের প্রয়োজন পড়ে, এই অয়েব সাইট আপনি দুই ভাবে তৈরি করতে পারেন একটি হলো ফ্রিতে এবং অন্যটি হলো টাকা দিয়ে।

টাকা দিয়ে আপনি ডমেইন হস্টিং কিনে অয়েব সাইট তৈরি করতে পারেন। এতে নানা রকম সুযোগ সুবিধা থাকে যেমন আপনি আপনার অয়েব সাইটকে আপনার যেভাবে খুশি সেভাবে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। কিন্তু ফ্রিতে কিছু বাধ্যবাদকতা থাকে।

ফ্রিতে অয়েব সাইট তৈরি করার জন্য অনেক কম্পানি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো গুগুলের Bloger এখানে আপনি ফ্রিতে একটি অয়েব সাইট তৈরি করতে পারবেন এবং এতে নিয়মিত পোস্ট করে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ডলার ইনকাম করতে পারেন।

ব্লগিং এর অনেক সুবিধা রয়েছে আপনি নির্দিষ্ট কিছুদিন এখানে কাজ করবেন তারপর অনেক দিন কাজ না করলেও আপনার ইনকাম হতেই থাকবে। এবং আপনি যদি মারাও যান আপনার পরবর্তি প্রজন্মও এখান থেকে আয় করতে পারবে।

ইউটিউব থেকে প্যাসিভ ইনকাম: ইউটিউব বর্তমানে সবছেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং ফ্লাটফরম। ইউটিউব হচ্ছে গুগুলের একটি প্রডাক্ট। বর্তমানে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা সবাই ইউটিউবের সাথে পরিচিত। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে অনেকেই মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা আয় করছে।

ইউটিউবে আপনি নির্দিষ্ট কিছু সময় ভিডিও আপলোড করার পর আপনি যদি পরে আর কাজ নাও করেন তাহলেও আপনার ইনকাম চলতে থাকবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেল যদি টেকনোলজি বিষয়ক হয় তাহলে নানা রকম মাধ্যমে আয় করতে পারবেন, যেমন, প্রডাক্ট রিভিউ করে- অনেক কম্পানি আছে যারা তাদের প্রডাক্ট টাকা দিয়ে ইউটিউবারদের মাধ্যমে রিভিউ করা। এছাড়াও গুগুল এডসেন্স থেকে প্যাসিভ ইনকাম ত আছেই।

ই-বুক রাইটিং করে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম

আপনার যদি কোন বিষয়ে ভাল জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি সেই বিষয়ে ই-বুক লিখে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে বেশিরভাগ মানুষেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পছন্দ করে।

তাই সবাই এখন ই-বুকের দিকে বেশি জোকসে, আপনি Amazon এ আপনার ই-বুক আপলোড করে সাড়াজীবন সেটির মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনার ই-বুক বিক্রির টাকা আপনার পরবর্তি প্রজন্মও পেতে থাকবে।

টি-শার্ট ডিজাইন করে প্যাসিভ ইনকাম

যাদের গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা আছে তারা টি-শার্ট ডিজাইন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনে টি-শার্ট ডিজাইন একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে দারিয়েছে। অনেক মার্কেটপ্লেস আছে যারা তাদের অয়েব-সাইটে আপনার ডিজাইন আপলোড করার সুযোগ দেয় এবং আপনার ডিজাইনকৃত টি-শার্টটি যতবার বিক্রি হবে ততবার আপনি এতেকে একটি কমিশন পাবেন।

বর্তমানে যেসব অয়েব সাইটে টি-শার্ট ডিজাইন বিক্রি করার সুযোগ দেয় সেগুলো হলো, Amazon. Spreadsheet, teespring ইত্যাদি আরও অনেক অয়েব সাইটে আপনার ডিজাইন বিক্রি করার সুযোগ পাবেন।

প্যাসিভ ইনকামের বিষয়ে এখানে যেগুলো আলোচনা করা হয়েছে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক মাধ্যম রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে এখন ইনকাম করা এত বেশি কঠিন কোন কাজ না। শুধু একটু বুদ্ধি থাকলেই হলো।

আরও পড়ুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url