ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়? ব্লগিং কি-bloging
ব্লগিং করে মাসে কত আয় হবে, এটা নির্ভর করবে আপনি কোন বিষয় নিয়ে লিখালিখি করছেন সাধারণত গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগের লিখার সাথে মিল রেখেই বিজ্ঞাপন প্রর্দশন করে। আপনি যদি প্রযুক্তি বা ইলেক্ট্রনিকস বিষয় নিয়ে লিখালিখি করেন তাহলে আপনার ইনকামও বেশি হবে।
এছাড়াও ইনকাম নির্ভর করে ভিজিটরের উপর আপনার ব্লগে যদি প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার ভিজিটর আসে তাহলে আপনার মাসে ২০০$ থেকে ৩০০$ ডলার আয় হবে। মাঝে মাঝে এর থেকে বেশিও হতে পারে। এখানে আমি যে আয়ের কথা বলছি এটা শুধু গুগল এডসেন্স থেকে। এছাড়াও আপনি আপনার ব্লগ থেকে আরও নানা রকম উপায়ে আয় করতে পারবেন।
যেমন এফিলিয়্যাট মার্কেটিং করেও আপনি ভাল পরিমাণের আয় করতে পারবেন, বর্তমান সময়ে এমন অনেক ব্লগার আছে যারা এফিলিয়্যাট মার্কেটিং করে মাসে ১০০০$ ডলারের উপরেও ইনকাম করছে।
ব্লগিং কি?
ব্লগিং করে আয় সম্বন্ধে জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে ব্লগিং কি? এবং কিভাবে করা হয়। ব্লগিং হলো একটি মুক্ত পেশা যে কেউ এটি করতে পারে। ব্লগিং করার জন্য আপনার একটি অয়েবসাইট থাকতে হবে সেটি ফ্রিও হতে পারে আবার পেইডও হতে পারে।
আপনি যেই বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ে লিখালেখি করার মাধ্যমে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। ব্লগ থেকে আয় করার অনেক মাধ্যম আছে আপনি নিজের কোন পণ্য বিক্রি করতে পারেন অথবা অন্যের পন্যের বিজ্ঞাপন দিয়েও আয় করা যায়। আমরা সাধারণত যেভাবে আয় করি সেটাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হল এক্টিব ইনকাম ও আরেকটি হল পেশিব ইনকাম।
এক্টিব ইনকাম হল সেই সেই ধরনের ইনকাম যেইসকল কাজ আমরা করার সাথে সাথে ইনকাম হয় যেমন কেউ যদি রিক্সা চালায় তাহলে সে যতক্ষণ রিক্সা চালাবে তথক্ষনই তার আয় হবে। কিন্তু সে যদি একদিন রিক্সা না চালায় তাহলে সেদিন তার কোন ইনকাম হবে না। এরকম আরও অনেক এক্টিব ইনকাম রয়েছে যেমন চাকরি, ব্যবসা, কোন পণ্য বিক্রি করা ইত্যাদি। আমাদের বেশিরভাগই ইনকামই হচ্ছে এক্টিব ইনকাম।
পেসিব ইনকাম হলো এমন একটি ইনকাম যেটিতে আপনি প্রথম কিছুদিন কাজ করলে একসময় আর কাজ না করলেও সেটি থেকে ইনকাম আসতে থাকে। ব্লগিংও এই পেসিব ইনকামের মধ্যে পড়ে, ব্লগিং এ আপনি কিছুদিন হার্ডওয়ার্ক করলে পরে আপনি যদি অনেক সময় দরে কাজ নাও করেন, তাহলেও সেখান থেকে ইনকাম আসতে থাকবে।
যেমন যদি কোন লেখক কোন বই লিখে তাহলে যদদিন সেই বই বিক্রি হবে ততদিনেই সেখান থেকে ইনকাম লেখক টাকা পাবেই, এমনকি যদি সেই লেখক মড়েও যায় তাহলে তার বংশধরেরা সেখান থেকে টাকা পাবে। আরও আছে যেমন যদি আপনি কোন একটি বড় বাড়ী তৈরি করেন এবং সেটি যদি বাড়া দেন তাহলে আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও সেখান থেকে টাকা আসতেই থাকবে সেটিই হল পেসিব ইনকাম।
ব্লগিং কিভাবে করা হয়
ব্লগিং আপনি ফ্রিতেই করতে পারেন আবার টাকা দিয়েও ডমেইন হস্টিং কিনেও করতে পারেন। টাকা দিয়ে করলে সুযোগ সুবিধা একটু বেশি পাবেন তবে ফ্রিতেও অনেকে ব্লগিং করে ভালো পরিমাণে আয় করছে। ব্লগিং করার জন্য প্রথমে আপনার একটি অয়েবসাইট লাগবে যেটিতে আপনি লেখালিখি করবেন।
ফ্রিতেও অনেক অয়েবসাইট তৈরি করা যায়, ফ্রিতে ব্লগিং করার জন্য সবচেয়ে ভাল হচ্ছে blogger এবং wordpress এই দুটিই অনেক ভাল, নতুন অবস্থায় ব্লগিং শুরু করার জন্য এই দুইটি থেকে যেকোন একটি বেছে নেওয়াই ভাল। ব্লগার হচ্ছে গুগুলের প্রডাক্ট তাই এসইও এর জন্য ব্লগারেই সবচেয়ে ভাল। এছাড়াও ব্লাগারের হস্টিং স্পিড অনেক ভাল।
কি কি বিষয়ে ব্লগিং এ লিখালিখি করা যায়
ব্লগিং এ আপনি যেকোনো বিষয় নিয়ে লিখালিখি করতে পারবেন তবে অবশ্যই সেটি কোন সেক্সুয়েল বিষয় বা হ্যাকিং বিষয় যেন না হয়। এগুলো ছাড়া আপনি যেকোনো বিষয়ে লিখালিখি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যেই বিষয়ে পারদর্শি এবং যেটি আপনার কাছে ভাল লাগে সেই বিষয়েই আপনি লিখালিখি শুরু করে দিতে পারেন।
আপনি যদি প্রথমেই ব্লগিং এ টাকার কথা চিন্তা করেন তাহলে ব্লগিং এ বেশিদিন টিকতে পারবেন না। ব্লগিং এ আয় হচ্ছে একটি দীর্ঘ সময়ের যাত্রা, আপনি ভালালাগা থেকে এখানে লিখালিখি করতে থাকলে একসময় দেখবেন প্রছুর ভিজিটর আপনার লেখা পড়তে আপনার ব্লগে আসবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন । তবে আপনার অবশ্যই অনেক ধৈর্য ধারণ ও পরিশ্রম করতে হবে।
ব্লগিং করার জন্য কি কি বিষয় শিখতে হবে
আপনি যদি ব্লগিং করতে চান তাহলে আপনার যেকোন একটি প্লাটফর্ম ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিভাবে পোস্ট করবেন এবং অনপেইজ এসইও করবেন সেগুলো শিখে তারপর ব্লগিং শুরু করতে হবে। নাহলে আপনার ব্লগে কোন ভিজিটর পাবেন না।
ভিজিটর না আসলে আপনার কোন আয় হবে না। তাই আগে আপনার ব্লগিং সম্পর্কে বেসিক ধারনা গুলো শিখে নিতে হবে। বিশেষ করে সার্চইন্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও এটি আগে শিখতে হবে, না হলে আপনার ব্লগ বা অয়েবসাইট গুগুলের সার্জরেজাল্টে আসবে না। আর সার্জরেজাল্টে না আসলে আপনি ভাল পরিমাণ ভিজিটরও পাবেন না।
আরও পড়ুন