বিট কয়েন কি? বিট কয়েন কিভাবে কাজ করে।

বিট কয়েন কি

বিট কয়েন কি?

বিট কয়েন আসলে কোন কয়েন নয়। এটি একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা, যা কম্পিউটারের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা হয়। বিট কয়েনের সাংকেতিক প্রতীক হল BTC, এবং এর ক্ষুদ্র একক হল সাতোশি। ১ বিটকয়েন সমান ১০০০ মিলি বিটয়েন এবং সাতোশি ১ বিটকয়েন সমান ১ কোটি সাতোশি।

বিট কয়েন ধরা ছোয়া যায় না এবং এটি কোন ক্যাশ বাক্স বা ব্যাংকে রাখা যায় না। এই মূদ্রার নির্দিষ্ট কোন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও নেই এটি অনলাইনের মাধ্যমে লেনাদেনা করা হয়।

 যেহেতু এটি একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি সিষ্টেম তাই অনলাইনে সকল প্রকার বৈধ ও অবৈধ কাজে এটি ব্যবহার করা হয় এবং যেহেতু এটির নির্দিষ্ট  কোন নিয়ন্ত্রণ কারি সংস্থা নেই তাই বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করলে কে বা কারা লেনদেন করছে এটি দরাছোয়ার বাহিরেই থেকে যায়।

বিটকয়েন কি কি কাজে ব্যবহার হয়?

বিট কয়েনে লেনদেন করলে যেহেতু কে কোথায় থেকে লেনদেন করছে তা ট্র্যাক করা সম্ভব নয় তাই এটি বৈধ্য কাজের ছেয়ে অবৈধ্য কাজেই বেশি ব্যবহার করা হয়। যেমন অস্ত্র কেনা বেছা, কাউকে হত্যা করার জন্য মাফিয়া বাড়া করা ড্রাগ কেনা বেছা ইত্যাদি কাজে বিট কয়েন ব্যবহার করা হয়।

২০০৯ সালে বিটকয়েন এর উদ্ভাবন হয় সাতোশি নাম ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি এই মূদ্রার উদ্ভাবন করেন এবং ওই বছরই একটি সফটওয়ার চালুর মাধ্যমে এটি আত্মপ্রকাশ করে।

প্রথম ‍দিকে বিটকয়েনের বাজার মূল্য খুবেই কম ছিল ১৩০৯ বিটকয়েন সমান ছিল ১ ডলার। যখন নানা রকম অবৈধ কাজে ব্যবহার করার জন্য এটি খুব জনপ্রিয় হতে থাকে এবং বিটকয়েনের বাজার মূল্যও খুব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

বর্তমানে ১ বিটকয়েন সমান প্রায় ৯,৯৯৯ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮,৪৯৯১৫ টাকা।

ড্রাক-অয়েবে বিট কয়েনের মাধ্যমে সকল প্রকার লেনাদেনা করা হয়। ড্রাক অয়েব ইন্টারনেটের একটি গোপন অন্ধকার জগৎ  ড্রাক অয়েবে সকল প্রকার অবৈধ কাজকর্ম করা হয়।

বিট কয়েন কিভাবে সংগ্রহ বা উপার্জন করা যায়?

বিট কয়েনের জনপ্রিয়তা এবং এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই বিট কয়েন সংগ্রহ করে রাখছে। বিটকয়েন সংগ্রহ করে রাখার জন্য কোন ব্যক্তির অবশ্যই একটি অনলাইনন ওয়ালেট এর বিপরীতে একটি ইউনিক আইডি বা অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়া হয়।

যেখান থেকে আপনি বিটকয়েন খরচ অথবা জমা করতে পারবেন। অনেক ভাবে বিটকয়েন উপার্জন করা যায়, যেমন, কিছু কিছু অয়েবসাইটে কাজ করার মাধ্যমে, কোন মূদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে, কোন কিছু বিক্রয় করার মাধ্যমে। তবে বিটকয়েন উপার্জনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে বিটকয়েন মাইনিং করা।

বিটকয়েন মাইননিং হল যখন বিটকয়েন লেনদেন করা হয় তখন এর গাণিতীক হিসেব নিকেশ প্রসেসটা অনেক জটিল হয়, তাই এটি করার জন্য অনেক কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়।

তাই এই বিটকয়েন মাইনিক সিস্টেমটি আপনার ঘরেই তৈরি করতে পারবেন এবং এটি ২৪ ঘন্টা চালু রাখার মাধ্যমে বিটকয়েন উপার্জন করা যায়।

বাংলাদেশে বিটকয়েন বৈধ্য নয়, তাই বাংলাদেশ থেকে কোন প্রকার বিটকয়েন লেনদেন বা সংগ্রহ করা আইনত দন্ডনীও অপরাদ। এবং অনেকেই বিটকয়েন ক্রয় করতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url