ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক কি, ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে ও ইন্টারনেটের ইতিহাস।

ইন্টারনেট কি?

ইন্টারনেট কি?

ইন্টারনেট কি? বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট আমাদের একটি মৌলিক চাহিদা হয়ে দারিয়েছে। বর্তমান সময়ে প্রায় সকল কিছুই এখন ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। ইন্টারনেট ছাড়া এখন আমাদের একমুহুর্তও চলে না। আমরা এখন তথ্য আদান প্রদান থেকে শুরু করে কেনা কাটা সকল কাজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে করে থাকি। বর্তমান সময়ে মানুষ কারো সাথে সরাসরি দেখা করা বা সময় কাঠানো থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আড্ডা দিয়ে সময় কাঠানো বেশি পছন্দ করে।

ইন্টারনেট হল এমন একটি নেটওয়ার্ক যা পুরো বিশ্বকে একসাথে সংযুক্ত করে রেখেছে। ইন্টারনেট আধুনিক ডিজিটাল যোগাযোগের একটি মাধ্যম যেটি টেলিফোন লাইন, কেবল, স্যাটেলাইট, বেতার সংযোগ ইত্যাদির ব্যবহার করে কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিকে (www) ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অয়েব’ এর সাথে সংযুক্ত করে। 

সহজ ভাষায় বলতে গেলে সাড়া পৃথিবীর সকল কম্পিউটার একে অন্যের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য যে মাধ্যম ব্যবহার করে সেটিকেই ইন্টারনেট বলে।

আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবস্থার মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো একে অপরের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে।

অর্থাৎ আপনি এখন যে কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করে এই আর্টিকেলটি পড়েছেন সেটি আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে সাড়া বিশ্বের নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।

ইন্টারনেটের ইতিহাস

১৯৬০-এর দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি বা আরপা পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্টের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলে। তখন তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। (তথ্যসূত্রঃ ইউকিপিডিয়া)

১৯৮০ সালে ইউরোপের গবেষক টিম বার্নাস লি. www বা world wide web আবিষ্কার করেন। এতেই দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব হয়। ১৯৮৯ সালে আইপি বা প্রটোকল ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত, করা হয়। এভাবেই সাড়া বিশ্বে ইন্টারনেট ছড়িয়ে পড়ে।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে? 

আমরা বেশিরভাগ মানুষেই মনে করি ইন্টারনেট স্যাটেলাইট বা টাওয়ারের মাধ্যমে কাজ করে। কিন্তু না ইন্টারনেট স্যাটেলাইট বা টাওয়ারের মাধ্যমে মাত্র ১% কাজ করে।


সাড়া বিশ্বকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল এর মাধ্যমে। এই ক্যাবল সমুদ্রের নিজ দিয়ে সকল দেশের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাই ইন্টারনেটের স্পিড ৯৯% এই অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের উপর নির্ভর করে।

তাহলে অনেকেই বলতে পারেন আমরা মোবাইলে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি সেটিতে ত কোন তারের প্রয়োজন হয় না। এই কাজটি সম্ভব হয়েছে অপটিক্যাল ক্যাবলের মাধ্যমেই।

এই ক্যাবল প্রথমে একটি মোবাইল টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারের দূরত্ব মেপে মেপে বসানো হয় এভাবেই একটি টাওয়ারের সাথে টাওয়ারের সংযুক্ত হয় এবং টাওয়ার আমাদের মোবাইলের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই নিয়মেই আমরা আমাদের ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করতে পারি এবং তথ্য আদান প্রদান করতে পারি।।

ইন্টারনেটের মালিক কে?

প্রকৃত পক্ষে ইন্টারনেটের নির্দিষ্ট কোন মালিক নেই। বিভিন্ন বড় বড় কম্পানি তাদের নিজেদের টাকায় অপটিক্যাল ক্যাবল বা সাবমেরিন ক্যাবল সমুদ্রের নিজ দিয়ে একদেশের সাথে অন্যদেশের সাথে সংযুক্ত করার জন্য বিছায়।

এবং সেই মালিকরা নানা রকম মোবাইল কম্পানি বা ওয়াইফাই কম্পানির কাজ থেকে টাকা আয় করে। ইন্টারনেটের নির্দিষ্ট কোন মালিক না থাকলেও ইন্টারনেটের যে তথ্য বা ডাটার নির্দিষ্ট মালিক থাকে। যেমন আপনি যদি একটি অয়েবসাইট খুলেন এবং সেই অয়েবসাইটে কোন তথ্য বা ডাটা রাখেন সেই সকল ডাটার মালিক আপনি। কিন্তু ইন্টারনেটের মালিক আপনি হতে পারবেন না।

(সারা পৃথিবীর সাবমেরিন ক্যাবলের মানচিত্র দেখতে এখানে ক্লিক করুন)

আরও উদাহরণসহ বলতে গেলে গুগল বা ফেইসবোক বড় বড় কম্পানি গুলো শুধু এই ফেইসবোক বা গুগুলেরই মালিক কিন্তু তারা ইন্টারনেটের মালিক না।

আরও পড়ুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url